১. নাম : কাবাঘরের গিলাফকে ‘কিসওয়াহ’ বলা হয়।
২. গিলাফ পরিবর্তনের দিন : প্রতিবছর ৯ জিলহজ আরাফার দিন কাবাঘরে নতুন গিলাফ চড়ানো হয়।
৩. যেখানে তৈরি হয় : কাবার গিলাফ তৈরি হয় মক্কায় অবস্থিত কিসওয়াহ ফ্যাক্টরিতে। বাদশাহ আবদুল আজিজ আল-সউদের নির্দেশে ১৯২৭ সালে ফ্যাক্টরিটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
৪. অর্থ ব্যয় : কাবার গিলাফ তৈরিতে প্রায় পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৬ কোটি ৭২ লাখ ৫১ হাজার ৮০০ টাকা।
৫. যে মেশিনে তৈরি : বিশ্বের সর্ববৃহৎ সেলাই মেশিনে কাবার গিলাফ তৈরি হয়। যে মেশিনের আয়তন ১৬ মিটার।
৬. যে সুতায় এমব্রয়ডারি করা : স্বর্ণমিশ্রিত সুতা দিয়ে এমব্রয়ডারি বা সূচিকর্ম করা হয়।
৭. যত স্বর্ণ ব্যবহার করা হয় : কাবার গিলাফ তৈরিতে ২৮০ কিলোগ্রাম স্বর্ণ ব্যবহার করা হয়।
৮. কর্মী ও কারিগর : কাবার গিলাফ তৈরিতে ১৬০ জন কর্মী ও কারিগর যুক্ত আছেন।
৯. কাপড় ও সুতা : একটি নতুন গিলাফ তৈরিতে ৬৭০ কেজি সিল্কের কাপড়, ১২০ কেজি স্বর্ণের সুতা ও এক কেজি রৌপ্যের সুতা ব্যবহার করা হয়। কাবার গিলাফে ব্যবহৃত ক্যালিগ্রাফির পুরুত্ব হয় ২.৫ সেন্টিমিটার।
১০. পুরনো গিলাফ যা করা হয় : কাবাঘরের পুরনো গিলাফের বিভিন্ন অংশ কেটে খণ্ড খণ্ড করা হয় এবং তা হজে অংশগ্রহণকারী বিশিষ্টজনদের মধ্যে বণ্টন করা হয়।
তথ্যসূত্র : হারামাইনের টুইট বার্তা