এই আন্দোলনের (সারায়া আল-কুদস) সামরিক শাখার অংশগ্রহণে গাজা ও বৈরুতের পাঁচটি অঞ্চলে একযোগে "কুদসের মাঠের ঐক্যের যুদ্ধ" উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই আন্দোলন ঘোষণা করেছে যে এই উৎসব বৃহস্পতিবার বিকেলে গাজা, রাফাহ এবং জেনিন প্রদেশে এবং একই সাথে সিরিয়া ও লেবাননের রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানের সাথে অনুষ্ঠিত হয়েছে; এই উৎসবে ইসলামিক জিহাদি আন্দোলনের মহাসচিব জিয়াদ আল-নাখলেহের ভাষণ প্রদান করেছেন।
ইসলামিক জিহাদ মিডিয়া অফিসের প্রধান দাউদ শাহাব জোর দিয়ে বলেছেন যে এই উৎসবটি ইহুদিবাদী শত্রুর জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং বার্তা, যা আন্দোলনকে জনগণ থেকে পৃথক করার চেষ্টা করে এবং জনগণের সাথে এই আন্দোলনের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করে।
"কুদসের মাঠের ঐক্যের যুদ্ধ" উৎসবের ধারাবাহিকতায় ফিলিস্তিনের গাজার দক্ষিণে ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের সামরিক শাখা আল-কুদস ব্রিগেডসের সামরিক কুচকাওয়াজ সম্পন্ন হয়েছে।
'ফিলিস্তিন আল-ইয়াউম' বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণের 'রাফাহ' শহরে কুদস ব্রিগেডসের পক্ষ থেকে যে সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছিল তাতে নানা ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট প্রদর্শিত হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শত শত প্রতিরোধ যোদ্ধা। এটি মূলত একটি সামরিক শোভাযাত্রায় পরিণত হয়েছিল। সশস্ত্র এই শোভাযাত্রা রাফাহ শহরের পশ্চিমাংশ থেকে শুরু হয়ে নাজমা স্কয়ারে গিয়ে শেষ হয়। এই পথ পাড়ি দেওয়ার সময় শোভাযাত্রাটি কয়েকজন শহীদের বাড়িতে গিয়ে থামে। সাম্প্রতিক গাজা যুদ্ধে তারা শহীদ হয়েছেন।
গাজায় ইসরাইলি হামলার কারণে সৃষ্ট তিন দিনের যুদ্ধের দুই সপ্তাহ পরই এই সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করল ইসলামি জিহাদ আন্দোলন। এর মাধ্যমে তারা আরও নতুন যুদ্ধের জন্য নিজেদের প্রস্তুতির কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চেয়েছেন। তারা বলতে চেয়েছে, ফিলিস্তিনিরা কখনোই অন্যায়ের কাছে মাথানত করবে না, জুলুম-দখলদারি মেনে নেবে না।
বর্ণবাদী ইসরাইলি সেনারা সম্প্রতি গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে। তিনদিন ধরে চলা এ পাশবিক হামলায় অন্তত ১৫ শিশু ও দুই নারীসহ ৪৯ ফিলিস্তিনি শহীদ এবং ৩৬০ জন আহত হন। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলন গাজা থেকে ইসরাইলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে কয়েকশ’ রকেট নিক্ষেপ করে।
প্রতিরোধ সংগ্রামীরা বিশেষকরে রাজধানী তেল আবিব ও সেখানকার বেন গুরিয়ান বিমানবন্দর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছেন। ইসলামি জিহাদের প্রতিরোধের মুখে শেষ পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের শর্ত মেনে যুদ্ধবিরতি করতে বাধ্য হয় দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইল। 4080626