মহান আল্লাহর সৃষ্টির অন্যতম নিদর্শন পবিত্র জমজম কূপ। সৌদি আরবের ভূতাত্ত্বিক জরিপ বোর্ডের জমজম কূপের ওপর একটি গবেষণাকেন্দ্র আছে। তারা বলছে, জমজম কূপের তলদেশে পানির স্তর ১০.৬ ফুট।
ভারী মোটরের সাহায্যে প্রতি সেকেন্ডে আট হাজার লিটার পানি পাম্প করে উঠিয়ে নিয়ে পানির স্তর ৪৩.৯ ফুট পূর্ণ করলেও পাম্প থামানোর ১১ মিনিটের মধ্যে তা আবার যথারীতি আগের মতো পূর্ণ হয়ে যায়।
মহানবী (সা.) এই কূপের পানিকে পৃথিবীর উত্কৃষ্টতম পানি বলে আখ্যা দিয়েছেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘ভূপৃষ্ঠের মধ্যে সর্বোত্তম পানি জমজমের পানি। তাতে ক্ষুধার্ত ব্যক্তির খাদ্য ও অসুস্থ ব্যক্তির আরোগ্য রয়েছে। ’ (তাবরানি : ১১/৯৮)
এই কূপের পানি পৃথিবীর পবিত্র ও উত্কৃষ্টতম হওয়ার আরেকটি প্রমাণ হলো, রাসুল (সা.)-এর ‘সাক্কে ছাদার’ বা বক্ষ বিদীর্ণ করে জিবরাইল (আ.) জমজমের পানি দিয়ে তা ধৌত করেছিলেন। (বুখারি, হাদিস : ৩৩৪২)
সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ এই পানিকে এতটা ফজিলতপূর্ণ করেছেন, যেকোনো নিয়ত নিয়ে সুন্নত মোতাবেক এই পানি পান করলেও মহান আল্লাহ তার নিয়ত পূরণ করে দেন। জাবির বিন আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুলাল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, জমজমের পানি যে উপকার লাভের আশায় পান করা হবে, তা অর্জিত হবে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩০৬২)
তাই আমাদের উচিত হজ-পরবর্তীকালে কোনো হাজি সাহেবের কাছ থেকে পবিত্র জমজম কূপের পানি উপহার পেলে তা যথাযথ আদবসহকারে পান করার চেষ্টা করা এবং জমজমের পানি পান করার সময় অবশ্যই শারীরিক ও আত্মিক রোগ থেকে আল্লাহর কাছে মুক্তি চাওয়া, নিজের প্রয়োজনগুলো পূরণ হওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা এবং ইবাদতে আগ্রহ বাড়া ও পরিপূর্ণ মনোযোগ আসার জন্য দোয়া করা।