সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদ আজ (রোববার) ইরান সফর করেছেন। রাজধানী তেহরানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী (হাফিজাহুল্লাহ) ও প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসির সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন।
বৈঠকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী (হাফিজাহুল্লাহ) বলেছেন, সিরিয়ার জনগণ ও সরকারের প্রতিরোধ এবং একটি আন্তর্জাতিক যুদ্ধে তাদের বিজয় সেদেশের সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। আজকের সিরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ-পূর্ববর্তী সিরিয়ার পার্থক্য রয়েছে। এটা ঠিক ঐ সময় ধ্বংসযজ্ঞ ছিল না, কিন্তু বর্তমানে দেশটির সম্মান ও মর্যাদা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। সবাই এই দেশকে একটি শক্তি হিসেবে গণ্য করছে।
বাশার আসাদকে উদ্দেশ করে সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, 'আমাদের এবং আপনাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর কিছু নেতা ইহুদিবাদী ইসরাইলের নেতাদের সঙ্গে ওঠবস করেন, একসঙ্গে বসে কফি খান। কিন্তু এসব দেশের জনগণই বিশ্ব কুদস দিবসে ব্যাপক সংখ্যায় রাস্তায় নেমে ইহুদিবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এটাই এখন এই অঞ্চলের বাস্তবতা।'
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী (হাফিজাহুল্লাহ) বলেন, 'আন্তর্জাতিক যুদ্ধে সিরিয়ার বিজয়ের পেছনে নানা কারণ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ হলো আপনার (বাশার আসাদ) উচ্চ মনোবল। এই মনোবল নিয়েই আপনি যুদ্ধের ক্ষতি পুষিয়ে দেশ পুনর্গঠন করতে সক্ষম হবেন ইনশাআল্লাহ। কারণ আপনার সামনে আরও অনেক বড় বড় কাজ রয়েছে।'
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি'র কুদস ফোর্সের সাবেক প্রধান শহীদ জেনারেল কাসেম সোলাইমানির কথা স্মরণ করে আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী (হাফিজাহুল্লাহ) বলেন, সিরিয়ার বিষয়ে শহীদ সোলাইমানির বিশেষ ধরণের সমর্থন ও সহযোগিতা ছিল। প্রকৃতপক্ষেই তিনি সেখানে আত্মত্যাগ করছিলেন। সিরিয়ায় তার আচরণ ও তৎপরতা ইরানের আট বছরের পবিত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধের সময়ের আচরণ থেকে আলাদা ছিল না। শহীদ সোলাইমানি এবং আইআরজিসির অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তি যেমন শহীদ হামেদানি সিরিয়া ইস্যুতে কাজ করাকে পবিত্র ও অবশ্য পালনীয় দায়িত্ব বলে গণ্য করতেন।
দুই দেশের সম্পর্ক আরও উন্নত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ইরান ও সিরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক ও বন্ধন উভয় দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্পর্ককে দুর্বল হতে দেওয়া যাবে না বরং যতটুকু সম্ভব জোরদার করতে হবে।
সিরিয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে সহযোগিতা করছে ইরান। এই সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য আন্তরিকভাবে ইরানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বাশার আসাদ। চার বছর আগেও একবার ইরান সফর করে তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ইরানের জনগণ ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক শেষে আজই বাশার আসাদ সিরিয়ায় ফিরে গেছেন। iqna