বার্তা সংস্থা ইকনা: «يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ؛ হে ইমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেভাবে ফরজ কা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যাতে তোমরা মুত্তাকি তথা পরহেজগার হতে পার।
এই আয়াত থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, রোজা হচ্ছে একটি ফরজ ইবাদত যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের আধ্যাত্মিক বিকাশ ও উন্নতি সাধন করা।
সুতরাং রোজাদারকে রোজা অবস্তায় নিজের সকল অঙ্গ প্রত্যাঙ্গকে হেফাজত করতে হবে। অর্থাত হাত পা, নাক কান চোখ সব কিছুকেই গোনাহ থেকে বিরত রাখতে হবে।
পবিত্র কোরআনে আরো বলা হয়েছে: «یَا أَیُّهَا الَّذِینَ آمَنُواْ اسْتَعِینُواْ بِالصَّبْرِ وَالصَّلاَةِ إِنَّ اللّهَ مَعَ الصَّابِرِینَ»، নামাজ এবং সবরের (রোজার) মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাও।
বিশেষ করে গরম কালে রোজা রাখা খুবই কঠিন, আর যদি আল্লাহর জন্য কষ্ট সহ্য করা হয় এবং সকল কাজ করা যায় তাহলে তার সওয়াবও খূব বেশী হবে।
ইমাম জাফর সাদিক(আ.) বলেছেন: মহান আল্লাহ ধনি ও গরিবকে একই অবস্থানে আনার জন্য রোজার বিধান দিয়েছেন।
এই মাসের বরকতে সমাজ থেকে গোনাহ ও অন্যায় অনেক কমে যায়। পাশাপাশি রোজা রাখার মাধ্যমে অথবা আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার মাধ্যমে অনেক খারাপ মানুষও ভাল পথে চলে আসে।