আনাদোলু এজেন্সি সূত্রে জানা যায়, চার দিনের এ সম্মেলনে ৪০টি দেশ থেকে পাঁচ শর বেশি প্রদর্শনীতে ইসলামী নির্দেশনা অনুসরণ করে তৈরি বিভিন্ন হালাল পণ্য ও সেবা সম্পর্কে জানানো হবে। এতে দেশি-বিদেশি মিলে ৪০ হাজারের বেশি দর্শকের আগমন ঘটবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা।
ওয়ার্ল্ড হালাল সামিট কাউন্সিলের সদস্য এমরে ইতে জানান, ‘মুসলিম বিশ্বে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সংহতির বাহন হিসেবে হালাল পণ্যের গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা সব ধরনের অন্যায় ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুসলিমদের সামর্থ্য ও সংহতি বাড়াতে কাজ করব। অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে একে অপরকে সমর্থন করে হালাল খাতের পরিমাণ ৪ ট্রিলিয়ন পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে এবং হালাল পণ্যের বাজার নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে কাজ করে যাব।
মুসলিম দেশগুলোর হালাল মাননির্ণয়ক সংস্থা দ্য স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড মেট্রোলজি ইনস্টিটিউটের (এসএমআইআইসি) সাধারণ সম্পাদক ইহসান ওভুত হালাল বাজারের মানের ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘কম্পানির চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের ১৭টি কারিগরি দল স্থানীয় ও আঞ্চলিক মান (স্ট্যান্ডার্ড) নিয়ে কাজ করছে। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনকে সহজ করতে কাজ করছি। ’
তুরস্কের অর্থমন্ত্রী নুরেদ্দিন নেবাতি বলেন, ‘বর্তমানে হালাল শিল্প খাদ্যের বাইরেও সমপ্রসারিত হয়েছে। অর্থনীতি, টেক্সটাইল, প্রসাধনী, ওষুধ, পর্যটন ও লজিস্টিকসের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে হালাল নির্দেশনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রত্যয়িত (সার্টিফায়েড) হালাল পণ্যের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে মুসলমানদের মধ্যে এর চাহিদা ব্যাপক, যারা বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ। ’
তিনি আরো বলেন, ‘ইসলামিক ফাইন্যান্স বাদ দিয়ে বর্তমানে হালাল অর্থনীতির পরিমাণ ২.১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উপাদান রয়েছে হালাল খাদ্যের, যার পরিমাণ ১.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরপর টেক্সটাইল খাতে ২৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, মিডিয়া খাতে ২৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং পর্যটন খাতে ১০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রয়েছে। ’ ইসলামিক ফাইন্যান্সের ক্ষেত্রে তিনি বলেন, ২০২১ সালে এই খাতের পরিমাণ ৩.১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছে এবং এই বছর তা ৩.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি