বার্তা সংস্থা ইকনা: আমি এক খ্রিস্টান পরিবার থেকে এসেছি। যদিও আমি সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করি কিন্তু আমি তেমন একটা ধর্ম-কর্ম পালন করি না। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমি কখনোই বুঝতে পারতাম না যে, কেন কিছু মানুষ এভাবে পোশাক পরিধান করেন।
আর আমার বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমার মনে এই ধারণা জন্মেছে যে, যেসব মুসলিম নারী হিজাব পরিধান করেন, তা তাদেরকে জোর করে পরিধান করানো হয় এবং হিজাব বৈষম্যের একটি চিহ্ন (আমি এখন জানি এটি সত্য নয়)।
আমি হিজাব পরিধান করার পর থেকে অনুভব করতে থাকি যে আমার পূর্বের ধারণা ভুল ছিল। আমি সমাজের চাপিয়ে দেয়া নিয়ম-কানুন থেকে নিজেকে স্বাধীন মনে করি এমনকি হিজাব পরিধানের মাধ্যমে আমি নিজেকে অনেক বেশী নারীবাদী হিসেবে অনুভব করতে শুরু করি।
আমি একসময় হিজাবকে খুবই সুন্দর একটি পোশাক হিসেবে বিবেচনা করতে শুরু করি। কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে আমি আমার পিতামাতার সাথে কথা বলতে ভয় পেতাম। তবে এসব কিছু ছিল রমজান মাসের হিজাব পরিধান করার প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত।
আমি এও বুঝতে পারলাম- হিজাব পরিধানের মাধ্যমে নিজের প্রতি আমার সম্মান বেড়ে যায়, এটি আমাকে সৃষ্টিকর্তার প্রতি আরো বেশী অনুগত করে তোলে এবং একই সাথে আমি এমন স্বাধীনতা অনুভব করি যা এর পূর্বে কখনো করেনি।
প্রথম প্রথম আমার হিজাব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ খুব একটা স্বস্তিদায়ক ছিলনা। লোকজন আমার দিকে ভালো দৃষ্টিতে তাকাত না, এমনকি কিছু মানুষ আমার হিজাব নিয়ে বাজে মন্তব্য করতেন। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমি বুঝতে পেরেছি যে, যেসব লোকজন সত্যিই আমার যত্ন নিতে ভালোবাসেন তারা আমি যা পরিধান করতে চাই বা আমাকে কি রকম দেখতে তাও মেনে নিবে।
সূত্রঃ সামান্থা মেলিয়া নামে অমুসলিম হিজাবী নারীর কলাম থেকে। ওয়ার্ল্ড হিজাব ডে।