বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: আধুনিক ও বহুসংস্কৃতির অস্ট্রেলিয়ায় মুসলিম হওয়ার অর্থ কী- তা অনুসন্ধান নিজস্ব মতাতম দিয়েছেন বিভিন্ন মত-পার্থ্যক্যের ১০ জন অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম।
টানা ৮ দিন সময় নিয়ে নতুন এই ডকুমেন্টারিটি তৈরি করছেন অস্টেলিয়ার ‘ন্যাশনাল পাবলিক টেলিভিশন নেটওয়ার্ক’ (এসবিএস)।
তারা তাদের বিশ্বাসে অবিভক্ত থাকলেও ‘ভালো মুসলিম’ হওয়ার অর্থ কী তা নিয়ে তাদের মধ্যে বিভক্ত দেখা গেছে।
এসবিএসের টিভি এবং অনলাইন কন্টেন্ট পরিচালক মার্শাল হেল্ড বলেন, ‘‘মুসলিম লাইক আস’ ডকুমেন্টারিতে ইসলামের বৈচিত্রময় ব্যাখ্যায় অস্ট্রেলিয়ায় প্রচলিত বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। আজকের দিনে মুসলমান হওয়ার অর্থ কী- তা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার শ্রোতাদের আরো বেশি জানার সুযোগ দিতেই এই উদ্যোগ।’
এই ১০ বাসিন্দা বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন শিয়া, সুন্নি ও সুফি; এশীয়, লেবাননি, আরব এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সদস্য। তাদের কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে কুরআন আল্লাহর আক্ষরিক শব্দ এবং তারা ইসলামকে একটি রক্ষণশীল, ঐতিহ্যগত পদ্ধতিতে অনুশীলন করেন। কিন্তু অন্যরা তাদের বিশ্বাসের আরো সূক্ষ্ম পার্থক্য ও আধুনিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
নারীবাদী ও মুষ্টিযোদ্ধা বায়ানকার দৃষ্টিভঙ্গি তার পরিবারের দৃষ্টিভঙ্গির বিপরীত। অন্যদিকে, হাসনাইন নারীদের জন্য আরো ঐতিহ্যগত ভূমিকায় বিশ্বাস করেন। তিনি তার নিজের জন্য কখনো রান্না করেননি বা তার নিজস্ব কাপড় কখনো ধৌত করেননি। একই সঙ্গে তিনি বহুবিবাহের সম্পর্কের ধারণায় বিশ্বাসী।
ফাহাদ একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তিনি নিজেকে একজন সমকামী বলে পরিচয় দিয়েছেন। এ নিয়ে তাকে তার পরিবারের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে বলে তিনি জানান।
ইসলামিক স্কুলের ডেপুটি প্রিন্সিপাল হাসান ইসলামে সমকামিতাকে অত্যন্ত কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে বিশ্বাস করেন।
আঞ্জুম স্বামী ব্যতীত অন্য পুরুষের সঙ্গে মেলামেশায় বিশ্বাস করেন না। তিনি হিজাব পরিধান করেন এবং তার পুরো মুখ ও শরীর নেকাবে ঢেকে রাখেন। যদিও মিনা বিশ্বাস করেন যে নারীদের মাথা ঢেকে রাখা বিভেদমূলক ও অপ্রয়োজনীয়।
ঘুমানোর ব্যবস্থা, প্রার্থনা, খাওয়া, সামাজিকতা, বিপরীত লিঙ্গের সদস্য, সন্ত্রাসবাদ এবং চরমপন্থা কিভাবে তাদের দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে তা আবিষ্কারের চেষ্টা করেছেন এই ১০ জন মুসলিম বাসিন্দা।
আগামী ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠানটি এসবএসে প্রচারিত হবে। আরটিএনএন