IQNA

রোহিঙ্গাদের দেশত্যাগে বাধ্য করার প্রমাণ পেয়েছে অ্যামনেস্টি

18:46 - October 18, 2017
সংবাদ: 2604099
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। বুধবার এক প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধ ও চলমান সংকট সমাধানে, দেশটির ওপর অবরোধ আরোপে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানায় মানবাধিকার সংগঠনটি।

বার্তা সংস্থা ইকনা: এর মধ্যে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের প্রায় ৩শ' গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়ার স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এদিকে, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দু'দেশকেই প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ হিসেবে, গত ২৫শে আগস্ট রাখাইনে সংঘাত শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত, ৫ লাখ ৮০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় আছে আরো হাজার হাজার শরণার্থী।

রাখাইনে নতুন করে সামরিক বাহিনীর রক্তাক্ত অভিযান শুরু হওয়ায় আবারো বাংলাদেশমুখী রোহিঙ্গা ঢল নেমেছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

বুধবার এক প্রতিবেদনে সংগঠনটি জানায়, মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, নির্যাতন সহ পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের দেশত্যাগে বাধ্য করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। উপগ্রহ ছবি, ধ্বংসযজ্ঞের ভিডিও ও দেড়শ' প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাৎকার নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরির করা হয়। রাখাইনে চলমান সংঘাত বন্ধে মিয়ানমারের চিহ্নিত সামরিক কর্মকর্তাদের ওপর অবরোধ ও দেশটিতে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরামর্শ দিয়েছে অ্যামনেস্টি।

এর মধ্যেই মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞের নতুন স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করেছে আরেক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। সেখানে প্রায় ৩শ' গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়ার প্রমাণ পাওয়া কথা জানিয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানায় এইচআরডব্লিউ।

এ অবস্থায় বাংলাদেশমুখী শরণার্থী ঢল বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ জানিয়ে চলমান সংকটের স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়ার অঙ্গীকার করেছে জাতিসংঘ। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বিশ্বকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সংস্থার মহাসচিবের মুখপাত্র।

জাতিসংঘ মহাসচিব মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, 'জাতিসংঘের রাজনীতি বিষয়ক প্রধান জেফারি ফেটম্যান তার ৫ দিনের মিয়ানমার সফর শেষ করেছেন। তিনি রাখাইন সমস্যা নিয়ে মিয়ানমার সরকার ও সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এছাড়া রাখাইনের সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল বিমানে করে পরিদর্শন করেন ফেটম্যান। মিয়ানমার সরকার সেখানে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের কথা বলে আসলেও, সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হবার দায় তারা এড়াতে পারে না।'

রাখাইন সংকট শুরুর পর থেকেই ব্যবসায়িক স্বার্থে মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান নেয় চীন। এরই ধারাবাহিকতায় এবার বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন রাখাইনের কিয়কপিয়ু বন্দরের ৭০ শতাংশ মালিকানা পেতে যাচ্ছে বেইজিং। এ বিষয়ে দু'দেশের সরকারের সমঝোতা হয়েছে। মিয়ানমার সরকারের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাতে মঙ্গলবার রয়টার্স এ তথ্য জানায়। এমটিনিউজ
captcha